ঘুরে এলাম সেন্টমার্টিনে যাওয়ার পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে


বালি, পাথর, প্রবাল কিংবা জীব বৈচিত্র্যের সমন্বয়ে জ্ঞান আর ভ্রমণ পিপাসু মানুষের জন্য অনুপম অবকাশ কেন্দ্র সেন্টমার্টিন। টেকনাফ উপজেলার একটি ইউনিয়ন সেন্টমার্টিন। মূল ভূখন্ড থেকে সমুদ্রপথে ২৬ নটিক্যাল মাইল দূরে এর অবস্থান বঙ্গোপসাগরের মাঝখানে। এটি বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। কক্সবাজার জেলা শহর থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে সাগর বক্ষের একটি ক্ষুদ্র দ্বীপ সেন্টমার্টিন। গত ১৩ নভেম্বর থেকে এই বছর এইরুটে শিপ চলাচল শুরু হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৯:৩০ এর টেকনাফের জাহাজ ঘাট থেকে ছেড়ে যায়। আবার সেন্টমার্টিন থেকে ছেড়ে আসে বিকাল ৩টায়। গন্তব্য পৌছানোর সময় অনেকটা নির্ভর করে জোয়ার ভাটার উপর। আনুমানিক ২:৩০-৩:৩০ ঘন্টা সময় লাগে।
কিভাবে যাবেন:
ঢাকা থেকে সরাসরি বাসে টেকনাফ। বাস ভাড়া ৯০০ টাকা (নন এসি)। টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন শিপে যেতে ভাড়া নিবে ৫৫০ টাকা।
কোথায় থাকবেন:
সেন্টমার্টিনে থাকার জন্য বেশ উন্নতমানের কয়েকটি হোটেল ও কটেজ আছে। ১৬টি হোটেলসহ বেশ ক’টি কটেজে প্রতিরাতে কমপক্ষে ৫০০ জন পর্যটক থাকতে পারেন। অনেক বাড়িতেও আছে পর্যটকদের জন্য থাকার ব্যবস্থা।






প্রায় সাড়ে ছয় মাস পর গতকাল সোমবার সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে আবার পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজের টেকনাফের ব্যবস্থাপক মো. শাহ আলম জানিয়েছেন, এ নৌপথে চলাচলের জন্য সারা বছরের অনুমতি রয়েছে। কিন্তু সাগর উত্তাল ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকে কেন্দ্র করে স্থানীয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কারণে ১৯৬ দিন ধরে জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল। বর্তমানে সাগর শান্ত ও পর্যটকদের কথা চিন্তা করে আবারও পর্যটক পারাপারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

সতর্কতা:
ভাটার সময় দয়া করে সেন্ট মার্টিন সৈকতের পানিতে নামবেন না।

তথ্যসূত্র: প্রথম আলো 15/11/2017

Popular posts from this blog

বরিশাল

সেন্টমার্টিন দ্বীপের জনপ্রিয় দশটি রিসোর্ট/হোটেল

বগালেক