বরিশাল
| বাংলার অপরূপ রুপ দেখতে হলে অবশ্যই আপনাকে ঢাকার বাহিরে বের হতে হবে। বাংলাদেশের ৬৪টা জেলাই দেখার মত অনেক কিছু আছে। শুধু তা দেখার জন্য একটি ভ্রমণ পিয়াসী মন লাগবে। কর্মের খাতিরে দেশের প্রায় বেশির ভাগ জেলায় কম বেশি যাওয়া হয়েছে। আজকে বরিশাল বিভাগ নিয়ে কিছু লিখতে চাই। কি আছে বরিশালে দেখার মত। শুরুর আগে বলে নেই আমি কোন প্রফেশনার রাইটার নই। ভুল গুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
প্রাচ্যের ভেনিস নামে পরিচিত বরিশাল জেলা বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলে অবস্থিত বরিশালের বিভাগীয় শহর। কীর্তনখোলায় তীরে অবস্থিত এই শহরটি বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দর শহর। দেশের খাদ্যশস্য উৎপাদনের একটি মূল অংশ আসে বরিশাল থেকে। তাই একে বাংলার ভেনিস বলে ডাকা হয়।
অবস্থান : এই জেলার উত্তরে চাঁদপুর,মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলা। দক্ষিণে ঝালকাঠি,বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলা। পূর্বে লক্ষীপুর,ভোলা জেলা ও মেঘনা নদী এবং পশ্চিমে পিরোজপুর, ঝালকাঠি ও গোপালগঞ্জ জেলা অবস্থিত।
নামকরন:
প্রাচীনকালে এই জেলার নাম ছিল চন্দ্রদ্বীপ। এই রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন রাজা দানুজ মাধব।বাকলা ছিল এই রাজ্যের রাজধানী। পরবর্তীতে ১৭৯৭সালে ইংরেজ আমলে বরিশাল জেলা হিসাবে স্বীকৃতি পায়। নামকরন করা হয় বাকেরগঞ্জ। কালের বির্বতনে বরিশাল হিসাবে স্বীকৃতি পায়। এই নামকরনের পিছনে বিভিন্ন ইতিহাসবিদ বিভিন্ন রকম মতবাদ দিয়েছেন। অনেকের মতে এই অঞ্চলে আগে বড় বড় শাল গাছে জন্মাতো। এই বড় শাল থেকে বির্বতন হয়ে বরিশাল নামটি আসে। আবার অনেক ইতিহাসবিদ দাবী করেন পর্তুগীজ বেরি ও শেলি প্রেমকাহিনীর জন্য বরিশাল নামকরনে হয়েছে। আবার অন্য এক জনশ্রুতি থেকে জানা যায় গিরদে বন্দরে তৎকালীন ঢাকার নবাবদের লবনের চৌকি বা গোলা ছিল। ইংরেজ ও পর্তুগীজ বনিকরা এই লবনের চৌকি গুলাকে বরিসল্ট বলতো। এই বরিসল্ট শব্দটি পরবর্তীতে পরিবর্তন হয়ে বরিশাল নামে পরিচিতি লাভ করে।
কি ভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে বরিশাল সাধারনত দুই ভাবে যাওয়া যায়। সড়ক পথে ও নৌ পথে।
❏ নৌ পথে : ঢাকার সদরঘাট থেকে প্রতিদিন রাত ৮.৩০-৯ টায় বরিশালের উদ্দেশে লঞ্চ ছেড়ে যায় , গিয়ে পৌছাবে পরের দিন ভোর ৪টায় । বরিশাল রুটের প্রায় সব লঞ্চই একই মানের । যে কোন একটাতে উঠলেই হয় । সুন্দরবন - ১০, সুরভী - ৯, পারাবত - ১২, কীর্তনখোলা - ২, সুরভী - ৭, সুন্দরবন ১২, ফারহান - ৮, টিপু - ৭, সুন্দরবন - ৮, পারাবত - ১০,পারাবত - ১১, পারাবত - ৯, কীর্তনখোলা - ১ এই রুটে চলাচল করে । ভাড়া : ডেক ১০০-২০০ টাকা , সোফা ৫০০ টাকা , সিংগেল কেবিন - ৭০০-১০০০ টাকা , ডাবল কেবিন - ১৮০০ । আর যারা দিনের লঞ্চে যেতে চান তাদের জন্য আছে গ্রীন লাইন ক্যাটারম্যান সার্ভিস , ঢাকা থেকে ছাড়া সকাল ৮ এবং বিকাল ৩টায় । ভাড়া : ইকোনমী ক্লাস ৭০০, বিজনেস ক্লাস ১০০০ ।
ষ্টীমার ➽ এম ভি বাঙালি,মধুমতি ও স্টীমার সার্ভিস ( শুক্রবার ছাড়া ঢাকা থেকে সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিট এ ১৩ নং পন্টুন থেকে ছাড়ে , ৬ টায় পৌঁছায় , বরিশাল থেকেও একই সময় ) , ভাড়া ২৫০ টাকা । রুট = ঢাকা - চাঁদপুর - বরিশাল - ঝালকাঠি - কাউখালী - হুলারহাট - চরখালী - বড় মাছুয়া (মঠবাড়িয়া) - সান্ন্যাসি - মোড়লগঞ্জ । শনিবার - পি এস লেপচা,রবিবার - পি এস মাহসুদ,সোমবার - এম ভি বাঙ্গালী,মঙ্গলবার - পি এস টার্ণ,বুধবার - পি এস অষ্ট্রিচ ( মংলা হয়ে খুলনা পর্যন্ত ),বৃহস্পতিবার - এম ভি মধুমতী ।
❏ সড়ক পথে :
সড়ক পথে আসতে কম সময় লাগলেও ভ্রমণটা আরামদায়ক না। সরাসরি বাসে আসলে দুই ভাবে আসা যায়। সায়েদাবাদ ও গাবতলী হয়ে। চেয়ার কোচের ভাড়া ৪৫০-৫০০টাকা। সময় লাগবে ৬ ঘন্টার মত। এই লাইনে সাকুরা পরিবহনের বাস অন্যতম। এইটা সায়েদাবাদ,গাবতলী দুই রুট দিয়েই যায়। এছাড়া নরমাল কোচ সার্ভিসের মধ্যে সুগন্ধা, মেঘনা(সায়েদাবাদ); সূর্যগন্ধা, রেখা(গাবতলী)অন্যতম।এই গুলা লঞ্চ পারাপার হয়ে যায়। ভাড়া নিবে ৩০০-৩৫০টাকা। আর এক ভাবে যাওয়া যায় ঢাকা থেকে। গুলিস্তান/পোস্তাগোলা ব্রীজ থেকে ইলিশ, গ্রেট বিক্রমপুর বাসে করে মাওয়া আসতে হবে। ভাড়া নিবে ৭০টাকা। মাওয়া নেমে স্পীড বোটে পদ্মা পার হয়ে কাওরাকান্দি আসতে হবে। ভাড়া নিবে ১৫০টাকা। পদ্মা পার হতে লাগবে ১৫ মিনিট। এরপর কাওরাকান্দি থেকে বিআরটিসি বাস করে বরিশাল। ভাড়া নিবে ২৫০টাকা।এইভাবে গেলে সময় কম লাগবে।
দর্শনীয় স্থান
❏ দূর্গা সাগর দীঘি :
শহর থেকে ১২ কিমি দূরে বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নে অবস্থিত । নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে স্বরুপকাঠি/বানারিপাড়ার মাহেন্দ্র/বাসে দূর্গা সাগর , ভাড়া ১৫/২০ টাকা , সময় ৩০ মিনিট ।
❏ বায়তুল আমান জামে মসজিদ : বরিশাল সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে বরিশাল-বানারীপাড়া সড়কের পাশে উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়ায় অবস্থিত । বরিশাল লঞ্চ ঘাট থেকে মাহেন্দ্রতে নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড , ভাড়া ১০ টাকা । নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে বানারিপাড়া/স্বরুপকাঠির মাহেন্দ্র/বাসে গুঠিয়া মসজিদ , মাহেন্দ্র ভাড়া ৩০ টাকা । প্রবেশের সময় = দুপুর ১২.৩০ - ২ টা , বিকালে ৪.৩০ - ৮ টা ।
❏ শেরে বাংলা স্মৃতি জাদুঘর:
বরিশাল সদর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে বানারীপাড়ার চাখার মোড়ের বাম পাশে অবস্থিত । নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে বানারিপাড়া/স্বরুপকাঠির বাসে উঠে গুয়াচিত্রা (গুঠিয়ার পর) নেমে ভ্যানে চাখার , ভাড়া ১০ টাকা ।
দূর্গা সাগর থেকে যেতে হলে মাহেন্দ্রতে গুয়াচিত্রা নামতে হবে , ভাড়া ১৫ টাকা । রবিবার সাপ্তাহিক ছুটি । গ্রীষ্মকালীন সময়সূচী ( ১ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ) : সকাল ১০ টা - সন্ধ্যা ৬ টা । ১-১.৩০ বিরতি । শীতকালীন সময়সূচী : সকাল ৯টা - সন্ধ্যা ৫টা । সোমবার দুপুর ২টা-৬ টা । শুক্রবার দুপুর ১২টা - ২.৩০ বিরতি । টিকেটের মূল্য : ১০টাকা ।
জাদুঘর বন্ধ ও খোলার সময়সূচি : গ্রীষ্ম কালীন সময়সূচী ( ১ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ) : সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা । ১-১.৩০ মধ্যাহ্নভোজন বিরতি । শীতকালীন সময়সূচী : সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৫টা । ১-১.৩০ মধ্যাহ্নভোজন বির্যতি। রবিবার সাপ্তাহিক ছুটি , সরকারি ছুটির দিন বন্ধ । সোমবার দুপুর ২টা থেকে খোলা । শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে ২.৩০ পর্যন্ত মধ্যাহ্ন ও নামাজের বিরতি । টিকেটের মূল্য : সর্বসাধারনের জন্য ১০টাকা,৫ বছরের নিচের বাচ্চার টিকেট লাগবে না। সার্কভুক্ত বিদেশী দর্শনার্থীর জন্য ৫০ এবং বিদেশী নাগরিকদের জন্য ১০০ টাকা ।
❏ শেরে বাংলা একে ফজলুল হক কলেজ :জাদুঘরের সন্নিকটেই ফজলুল হক কলেজ । এই কলেজের মূল বৈশিষ্ট হল ক্লাসরুমে কোন জানালা নেই সব দরজা ।
❏ শাপলার গ্রাম সাতলা : বরিশাল সদর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের উত্তর সাতলা গ্রাম । দিগন্তজুড়ে শাপলা ফুল দেখতে চান চলে যান বরিশাল উজিরপুরের সাতলা গ্রামে। গোটা গ্রামেই শাপলার চাষ হয়। তবে শাপলা চাষের সিজন হচ্ছে মার্চ থেকে নভেম্বর। তাই এই সময়ের মধ্যে গেলে শাপলা দেখতে পারবেন । কি ভাবে যাবেন : উপায় ১ = নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে সাতলার বাস ছাড়ে , ভাড়া ৯০ টাকা , সময় ২ ঘন্টা । উপায় ২ = বরিশাল নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে শিকারপুর সেখান থেকে টেম্পু করে উত্তর সাতলা । উপায় ৩ = ঢাকা থেকে বাসে আসলে উজিরপুর নতুনহাট নেমে সেখান থেকে অটোতে যেতে হবে । সেপ্টেম্বর - নভেম্বর শাপলার সিজন । ভালভাবে দেখতে হলে সকাল ৮ টার আগে যেতে হবে ।
❏ কড়াপুর মিয়া বাড়ি মসজিদ :
বরিশাল সদরের কড়াপুর ইউনিয়নের রায়পাশা গ্রামে (উত্তর কড়াপুর) অবস্থিত । বরিশাল লঞ্চ টার্মিনাল থেকে বের হয়ে মেইন রোডে এসে ডান দিকে কিছুদূর গেলেই চৌমাথা'র অটো পাওয়া যাবে , ভাড়া ১০ টাকা । চৌমাথা থেকে লেগুনায় পপুলার স্কুল নামতে হবে , ভাড়া ১৫ টাকা , ৯ কিমি । স্কুলের পাশ থেকে অটোতে উঠে মিয়া বাড়ি মসজিদের রাস্তায় নেমে ৬-৭ মিনিট হাঁটলে মসজিদ , অটো ভাড়া ৫ টাকা ।
❏ মধ্যকড়াপুর মসজিদ :
মিয়া বাড়ী মসজিদের সন্নিকটেই এই মসজিদটির অবস্থান। মিয়া বাড়ী মসজিদ দেখে পায়ে হেটে যেতে পারবেন। ১কি.মি. দূরত্ব হবে। এই ইউনিয়নের এই দুটি মসজিদ বেশ পুরানো ও ঐতিহ্যবাহী ।
❏ কসবা মসজিদ/আল্লাহ'র মসজিদ : গৌরনদী উপজেলার বড় কসবা গ্রামে অবস্থিত । নথুল্লাবাদ বাস স্ট্যান্ড থেকে গৌরনদীগামী বাসে উঠতে হবে , গৌরনদীর ভাড়া ৫০ টাকা । গৌরনদী নেমে টরকি'গামী অটোতে আল্লাহর মসজিদ যাওয়ার রাস্তায় নামতে হবে , ভাড়া ১০ টাকা , এরপর ২ মিনিট হাঁটলে মসজিদ ।
❏ কমলাপুর মসজিদ : গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামে তুলাতলা বাজারের কাছে অবস্থিত । নথুল্লাবাদ বাস স্ট্যান্ড থেকে বাসে গৌরনদী । তারপর মাহেন্দ্রতে (টরকি ও বার্থী'র পার হয়ে) ইল্লা নামতে হবে , ভাড়া ২০ টাকা । নেমে কমলাপুরের ভ্যানে তুলাতলা বাজার , ভাড়া ১০ টাকা । বাজার থেকে কিছুদূর এগিয়ে ডানের রাস্তা ধরে ৭-৮ মিনিট হাঁটলে মসজিদ ।
❏ শহরের আশে পাশে : ➽ ব্রজমোহন কলেজ - কলেজ রোড , নতুন বাজার মোড়ের কাছে , লঞ্চ টার্মিনাল থেকে ৩ কিমি , নথুল্লাবাদ বাস স্ট্যান্ড থেকে ১ কিমি । ➽ কাউনিয়া মহাশ্মশান - নতুন বাজার মোড়ের কাছে , দেশের সবচেয়ে বড় দীপাবলি উৎসব আয়োজিত হয় । ➽ বেলস পার্ক/বঙ্গবন্ধু উদ্যান - রাজা বাহাদুর সড়ক , লঞ্চ টার্মিনাল থেকে ১ কিমি দূরে । ➽ পদ্ম পুকুর - বেলস পার্কের পাশে । ➽ স্বাধীনতা পার্ক - শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ / আমতলা মোড়ের কাছে । ➽ মুক্তিযোদ্ধা পার্ক - লঞ্চ টার্মিনালের পাশে,নদীর পাড়ে । ➽ ৩০ গোডাউন - শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ / মেডিকেল মোড়ের কাছে , বেলস পার্ক থেকে ২.৫ কিমি , নদীর পাড়ে অবস্থিত । ➽ বিবির পুকুর - ফজলুল হক এভিনিউ/সদর রোডে , লঞ্চ টার্মিনাল থেকে ৫-৬ মিনিট হাঁটলে । ➽ অক্সফোর্ড মিশন চার্চ - শহরের বগুড়া সড়কে অবস্থিত , বিবির পুকুর থেকে ১ কিমি দূরে । ➽ বরিশাল বিভাগীয় জাদুঘর - ফজলুল হক এভিনিউ , পুলিশ সুপার কার্যালয়ের বিপরীত গলি , লঞ্চ টার্মিনালের কাছে । সময়সূচি - শেরে বাংলা স্মৃতি জাদুঘরের মতই । ➽ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় - বরিশাল লঞ্চ ঘাট থেকে অটোতে রূপাতলী মোড় স্ট্যান্ড , ভাড়া ১০ টাকা । রূপাতলী থেকে অটোতে ভার্সিটি , ভাড়া ১০ টাকা ।
➽ লাখুটিয়া জমিদার বাড়ি - বাবুগঞ্জ উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়নের লাখুটিয়ায় অবস্থিত । নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে অটোতে নতুন বাজার মোড় , সেখান থেকে টেম্পো/অটো তে বাবুরবাজার বাসস্ট্যান্ড , অটো ভাড়া ১৫ টাকা , ৮ কিমি । বাবুরবাজার নেমে বামদিকে ২-৩ মিনিট হাঁটলে জমিদার বাড়ি ।
❏ পঞ্চরত্ন মঠ/বাবুর বাড়ির মঠ : হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের পুর্ব কোড়ালিয়া গ্রামে অবস্থিত , কাউরিয়া বন্দর (বাজার) / হাই স্কুলের কাছে । উপায় ১ = লঞ্চে মুলাদী / নথুল্লাবাদ বাস স্ট্যান্ড থেকে বাসে মুলাদী (৪০ কিমি) । তারপর অটোতে বাবুর বাড়ির মঠ , ৭ কিমি । উপায় ২ = গৌরনদী গামী বাসে রহমতপুর নেমে বাস/টেম্পো তে মীরগঞ্জ ফেরি পার হয়ে মুলাদী বাজার । তারপর অটোতে বাবুর বাড়ির মঠ , ৭ কিমি । উপায় ৩ = বরিশাল থেকে লঞ্চে হিজলা লঞ্চ ঘাট , তারপর অটোতে মঠ ।
❏ নসরত গাজীর মসজিদ : বাকেরগঞ্জ উপজেলার শিয়ালগুনি গ্রামে অবস্থিত । রূপাতলী বাস স্ট্যান্ড থেকে পটুয়াখালীর বাসে বাকেরগঞ্জ , ১৯ কিমি । নেমে সাহেবগঞ্জ ফেরিঘাট , ১.৫ কিমি । ফেরিঘাট থেকে নদী পার হয়ে পেয়ারপুর বাজার , ৯ কিমি । পেয়ারপুর থেকে রিকশায় নসরত গাজীর মসজিদ , ২.৫ কিমি । জিপিএস = 22.552598,90.439980
কোথায় থাকবেন
হোটেল গ্রিন পার্ক - সিঙ্গেল ১৫০ টাকা - কেবি হেমায়েতউদ্দিন রোড । হোটেল হক ইন্টারন্যাশনাল - সিঙ্গেল রুম ৫০০-৬০০ - সদর রোড । হোটেল এথেনা - কাঠপট্টিরোড ।
কোথায় খাবেন
➽ গৌরনদী বন্দরের গৌরনিতাই (শচীন ঘোষ) মিষ্টান্ন ভাণ্ডার এর রসমালাই,দই রসগোল্লা । শ্রী গুরু মিষ্টান্ন ভাণ্ডার এর ক্ষীরপুরি ও রসমালাই । ননী ঘোষ মিষ্টান্ন ভান্ডার এর রসমঞ্জরী । কি ভাবে যাবেন : নথুল্লাবাদ বাস স্ট্যান্ড থেকে গৌরনদীর বাসে উঠতে হবে , ভাড়া ৫০ টাকা । গৌরনদী নেমে অটোতে বন্দর , ভাড়া ৫ টাকা । অটো থেকে নেমে বাম পাশের গলিতেই এই মিষ্টির দোকানগুলি অবস্থিত ।
➽ বাংলাদেশ মিষ্টান্ন ভাণ্ডার - গুঠিয়া বাজারের ব্রিজসংলগ্ন (সন্দেশ-দাম ১৫ টাকা পিস)
➽ দুলালের চটপটি - নতুন বাজার পুলিশ ফাঁড়ির বিপরীতে , দাম ২০ টাকা
➽ সুভাষ দার পটল ভাজা - কালিবাড়ী রোড,উদয়নী ক্লাবের পাশে,সন্ধ্যা ৭ টা থেকে পাওয়া যায় (পটল চপ,ফুলকপির চপ)
➽ সকাল সন্ধ্যা মিষ্টান্ন ভাণ্ডার - সদর রোড , টাউনহল এর বিপরীতে (লুচি নাস্তা-৪০ টাকা,সরমালাই-৫০ টাকা)
➽ শশী মিষ্টান্ন ভাণ্ডার - গোরাচাঁদ দাস রোড ,বটতলার কাছে (রসগোল্লা,রসমালাই)
➽ হক মিষ্টান্ন ভাণ্ডার - বাজার রোড,মসজিদের সামনে (রসগোল্লা,রস মালাই,ছানা)
➽ নিতাই মিষ্টান্ন ভান্ডার - নতুন বাজার মোড়ের কাছে,বিএম কলেজ রোড (রসগোল্লা)
➽ আদি গৌরনদী মিষ্টান্ন ভাণ্ডার - বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর সড়ক , সদর রোড , শক্তি ঔষধালয় এর পাশে (সকালের নাস্তা,রসগোল্লা)
➽ দধি ঘর - বিবির পুকুরের পাশে,হেমায়েত উদ্দিন সড়ক (দই-চিড়া-ঘোল-মাখন মিক্স - ৬০ টাকা)
➽ মেহেন্দিগঞ্জ দধি ঘর - কাকলীর মোড় (মিষ্টি ঘোল)
ট্যুর প্ল্যান
প্ল্যান ১ ➽ ১ম দিন = বরিশাল শহরে = বিএম কলেজ ➽ ( লাখুটিয়া জমিদার বাড়ি ) ➽ অক্সফোর্ড মিশন চার্চ ➽ বিবির পুকুর ➽ বরিশাল বিভাগীয় জাদুঘর ➽ মুক্তিযোদ্ধা পার্ক ➽ মুক্তিযোদ্ধা পার্ক ➽ পদ্ম পুকুর ➽ বেলস পার্ক ➽ ৩০ গোডাউন ➽ স্বাধীনতা পার্ক ➽ রূপাতলী বাস স্ট্যান্ড হয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় । ➽ কড়াপুর মিয়া বাড়ি মসজিদ ।
২ য় দিন = বরিশাল শহর ➽ দুর্গা সাগর ➽ গুঠিয়া মসজিদ ➽ শেরে বাংলা জাদুঘর । or বরিশাল ➽ গৌরনদী বন্দর ➽ আল্লাহ'র মসজিদ ➽ কমলাপুর মসজিদ ➽ শেরে বাংলা জাদুঘর ➽ গুঠিয়া মসজিদ ➽ দুর্গা সাগর ➽ বরিশাল । নথুল্লাবাদ বাস স্ট্যান্ড থেকে বাসে গৌরনদী । নেমে অটোতে আল্লাহ'র মসজিদ , মসজিদ ঘুরে মাহেন্দ্রতে ইল্লা , তারপর কমলাপুর মসজিদ ঘুরে মাহেন্দ্রতে গৌরনদী । সেখান থেকে বাসে নথুল্লাবাদ ।
প্ল্যান ২ ➽ প্রথমে বরিশাল নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে বানারীপাড়াগামী বাসে মাধাবপাশা নামতে হবে। ভাড়া নিবে ৪৫টাকা । এখান থেকে দূর্গা সাগর দীঘি দেখে অটোতে করে গুয়াচিত্রা নামতে হবে । ভাড়া নিবে ২০ টাকা । এখান থেকে রিক্সা যোগে চাখার শেরে বাংলা জাদুঘর যেতে হবে । ভাড়া নিবে ২০টাকা । জাদুঘরের সন্নিকটেই ফজলুল হক কলেজ অবস্থিত । এগুলা দেখা শেষ করে আবার গুয়াচিত্রায় ফিরতে হবে এরপর সেখান থেকে গুটিয়াগামী অটোতে উঠে বায়তুল আমান জামে মসজিদ ভাড়া নিবে ৫ টাকা ।



