Posts

Showing posts from November, 2017

বগালেক

Image
বান্দরবানে যে কয়েকটি দর্শনীয় স্থান আছে বগালেক তার মধ্যে অন্যতম। প্রকৃতি তার আপন খেয়ালে এখানে পাহাড়ের উপর জলরাশি সঞ্চার করে তৈরি করেছে এই হ্রদ। সমুদ্র সমতল হতে প্রায় ১৭০০ ফিট উপরে পাহাড় চূড়ায় ১৫ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই অত্যাশ্চর্য হ্রদটি। বিষয়টি যতটা না অবিশ্বাস্য, যতটা না অলৈাকিক তার চাইতেও বেশী এর সৌন্দর্য। শান্তজলের হ্রদ আকাশের কাছ থেকে একমুঠো নীল নিয়ে নিজেও ধারন করে নিয়েছে সেই বর্ণীল রং। পাহাড়ের চূড়ায় নীল জলের আস্তর নীল আকাশের সাথে মিশে তৈরি করেছে এক প্রাকৃতিক কোলাজ। মুগ্ধ নয়তে দেখতে হয় আকাশ পাহাড় আর জলের মিতালী। প্রকৃতি এখানে ঢেলে দিয়েছে একরাশ সবুজের ছোঁয়া। যেন তুলির আঁচড়ে বগালেকের পুরো জায়গা সেজেছে ক্যানভাসের রঙে আর প্রকৃতি তার আপন খেয়ালে এঁকেছে জলছবি। বগালেক দুই ভাবে সমাদৃত ভ্রমণপিপাসুদের কাছে। বগালেক গন্তব্য হিসেবে যেমন জনপ্রিয় আবার বগালেক পর্বতারোহীদের কাছে অনেকটাই বেস ক্যাম্পের মতো যারা রুমা হয়ে ট্রেকিং রুটগুলোতে যান। এ এমনই এক ছবি যা দেখামাত্র ভ্রমনপিপাসুদের ক্লান্তি-তৃষ্ণা উবে যায় মুহুর্তের মাঝে। দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে আসার ক্লান্তি হারিয়ে যা...

বরিশাল

Image
 বাংলার অপরূপ রুপ দেখতে হলে অবশ্যই আপনাকে ঢাকার বাহিরে বের হতে হবে। বাংলাদেশের ৬৪টা জেলাই দেখার মত অনেক কিছু আছে। শুধু তা দেখার জন্য একটি ভ্রমণ পিয়াসী মন লাগবে। কর্মের খাতিরে দেশের প্রায় বেশির ভাগ জেলায় কম বেশি যাওয়া হয়েছে। আজকে বরিশাল বিভাগ নিয়ে কিছু লিখতে চাই। কি আছে বরিশালে দেখার মত। শুরুর আগে বলে নেই আমি কোন প্রফেশনার রাইটার নই। ভুল গুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। প্রাচ্যের ভেনিস নামে পরিচিত বরিশাল জেলা বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলে অবস্থিত বরিশালের বিভাগীয় শহর। কীর্তনখোলায় তীরে অবস্থিত এই শহরটি বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দর শহর। দেশের খাদ্যশস্য উৎপাদনের একটি মূল অংশ আসে বরিশাল থেকে। তাই একে বাংলার ভেনিস বলে ডাকা হয়। অবস্থান :  এই জেলার উত্তরে চাঁদপুর,মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলা। দক্ষিণে ঝালকাঠি,বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলা। পূর্বে লক্ষীপুর,ভোলা জেলা ও মেঘনা নদী এবং পশ্চিমে পিরোজপুর, ঝালকাঠি ও গোপালগঞ্জ জেলা অবস্থিত। নামকরন: প্রাচীনকালে এই জেলার নাম ছিল চন্দ্রদ্বীপ। এই রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন রাজা দানুজ মাধব।বাকলা ছিল এই রাজ্যের রাজধানী। পরবর্তীতে ১৭৯৭সালে ইংর...

উমেংগট নদী- মেঘালয়ের অদেখা স্বপ্নলোক যেখানে আকাশ ধুয়ে সাজিয়েছে নিজের যতো রঙ, যেখানে প্রকৃতি মিশেছে হয়ে সবুজ তরঙ্গ...

সিলেট শহর থেকে প্রায় আড়াই ঘন্টার পথ, সেখানে তামাবিল বর্ডার পার হয়ে জাষ্ট ১৫ মিনিটের দূরত্বেই বাস করছে এই সৌন্দর্যের খনি। ডাউকি, মেঘালয়ের রাজ্যের খাসিয়াদের ছোট এক রাজত্ব ,যেখানে খুব বেশী মানুষের আনাগোনা নেই। নেই ব্যস্ত নাগরিক জীবনের পদচারণ। আছে শুধু প্রকৃতির ঢেলে দেয়া সৌন্দর্যের এক ফালি সবুজ প্রতিকৃতি যেখানে নিজেকে হারায়ে যেন নিজেকেই পাওয়া যায় নতুন রুপে। সারাদিনের জন্য চলে যেতে পারেন ছোট এক জীপ ভাড়া নিয়ে কিংবা নিজের প্রাইভেট কার থাকলে কিংবা সিলেট থেকে তামাবিল পর্যন্ত যাওয়া যে কোন পরিবহনে চড়ে, ফ্যামিলি কিংবা বন্ধুদের সাথে। এর জন্যে থাকতে হবে পাসপোর্ট, ট্রাভেল ট্যাক্স আর ভারতের ভিসা তবে সেটা যন হয় তামাবিল বর্ডারের। তামাবিল পাড় হয়ে ওপারেই পেয়ে যাবেন অনেক ট্যাক্সি যাদেরকে বললে আপনাকে নিয়ে যাবে কাঙ্ক্ষিত সেই স্বচ্ছ নদীর পারে। এটা মূলত বাংলাদেশ আর ইন্ডিয়ার মধ্যকার মাল আনা নেয়ার যে ব্রীজ রয়েছে তা পার হয়ে যেতে হয়। সেখানে রয়েছে অসংখ্য ছোট বড় নৌকা যারা আপনাকে ৫০০ রুপীর বিনিময়ে ঘুরে দেখাবে এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্ত। এখানে একটা ছোট ইনফরমেশন দিয়ে রাখা ভালো, চেষ্টা করবেন ব্রীজ পার হয়ে ওই ...

১০ হাজার টাকায় দার্জিলিং ভ্রমন!

Image
মাত্র ১০ হাজার টাকার মধ্যেই আপনি সেরে নিতে পারেন স্বপ্নপুরী দার্জিলিং যাওয়া আসার যাবতীয় কার্যক্রম। তবে এ হিসাবটা শুধু বুড়িমারী স ীমান্ত পথের। কলকাতার শিয়ালদহ হয়ে গেলে এ হিসাব বেড়ে দাঁড়াবে সর্বসাকুল্যে ১৫ হাজার টাকায়। ঢাকার কল্যানপুর থেকে রাত ৮ টায় শ্যামলী বাসে যাত্রা শুরু করে ভোরে বুড়িমারি সীমান্তে পৌছে গেলাম। নাস্তা আর ইমিগ্রেশনের সব প্রক্রিয়া শেষ করতে সকাল ১০টা। চ্যাংড়াবান্দায় ইমিগ্রেশন আনুষ্ঠানিকতা সেরে শ্যামলীর বাসে শিলিগুড়ির পথে যাত্রা শুরু করলাম ঠিক ১২টায়। শিলিগুড়ি জিপ স্টেশন থেকে দার্জিলিংগামী টাটা সুমো জিপে রওনা হলাম দার্জিলিংয়ের পথে। ঠিক ৫ টায় পৌছে গেলাম নয়নাভিরাম দার্জিলিং। শীতের শুরু বা শেষের দিকে দার্জিলিং ভ্রমণের জন্য ভালো। দার্জিলিং জেলা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অন্তর্গত একটি অবকাশ যাপন কেন্দ্র। কিভাবে যাবেন: বাংলাদেশ থেকে দার্জিলিং যাওয়ার সহজ বাবস্থা হচ্ছে বাস (প্রায় ২৪থেকে ২৮ ঘণ্টা লাগবে)। ঢাকা থেকে বেশ কিছু পরিবহনের বাস সরাসরি বুরিমারি, লালমনিরহাট যায়। যেতে সময় লাগবে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা। বুরিমারি এদিককার বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত শহর। চার-পাঁচটা দোকান আর কয়ে...

বাই রোডে ভুটান

Image
ভূটানকে বলা হয় সৌন্দর্যের নগরী। ভূটানে যেতে যেহেতু বাংলাদেশীদের ভিসা লাগে না তাই অসংখ্য পর্যটক প্রতিবছরই ভূটান পাড়ি জমায়। কিভাবে যাবেন: ভুটান বাই রোডে যেতে চাইলে আপনাকে ভারতীয় ট্রানজিট ভিসা নিতে হবে। ঢাকার শুধুমাত্র গুলশান শাখা থেকে ভারতের ট্রানজিট ভিসা দিয়ে থাকে। টুরিস্ট ভিসায় হবে না। তবে টুরিস্ট ভিসায় শুধুমাত্র ফ্যুন্টশোলিং ঢুকতে পারবেন। ট্রানজিট ভিসার মেয়াদ থাকে ১৫ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ দিন। এই ভিসায় শুধুমাত্র ভুটান আর যাওয়ার মাঝে ৭২ ঘন্টা এবং আসার সময় ৭২ ঘন্টা ভারতে অবস্থান করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে দার্জেলিং ঘুরে আসতে পারেন। তবে কোন ভাবেই নেপালে যাওয়া সম্ভব না। ভিসা হাতে পেলে শ্যামলী বাসে উঠে পরুন। আরামবাগ থেকে রাত ৮টায় এবং কল্যাণপুর থেকে ৯টায় ছাড়ে। ঢাকা থেকে বুড়িমারি সীমান্তে পৌছাতে সময় লাগে ১০ থেকে ১১ ঘণ্টার মত। রাস্তায় যানজট না থাকলে সকাল ৮টার মধ্যে আপনি বুড়িমারি সীমান্তে পৌছে যাবেন। ৯টায় ইমিগ্রেশন অফিস খুললে প্রয়োজনীয় কাজ শেষে চ্যাংড়াবান্ধা পোর্ট পার হয়ে সরাসরি ট্যাক্সি নিয়ে জয়গাওতে চলে যান। রিজার্ভ গাড়িতে ভাড়া নেবে ১২০০-১৬০০ রুপি। একা হলে বাসে ভেঙ্গে ভেঙ্গে যেতে পারেন সেক্ষে...

দার্জিলিং যাবার পথেই বিখ্যাত ডুয়ার্স

Image
বাংলাদেশ থেকে ভারতে মানুষ যেসব জায়গায় ঘুরতে যায় তার মধ্য অন্যতম হলো দার্জিলিং। নয়নাভিরাম এই দার্জিলিং যাবার পথেই একটু ডানে সরে গেলেই পৃথিবীর বিখ্যাত ডুয়ার্সের দেখা মিলবে। ডুয়ার্সে পাহাড় নদী অরণ্য সব মিলেমিশে একাকার। পশ্চিম বঙ্গের জাতীয় উদ্যান ও এখানে।  কিভাবে যাবেন: রাতে শ্যামলী গাড়িতে উঠলে সকালে বুড়িমারি বর্ডার, বর্ডার পার হয়ে সকাল ১০ টার মধ্যেই মাত্র ১ হাজার রুপিতে সোজা জাতীয় উদ্যান, গরুমারা ন্যাশনাল এর মেইন গেটের সামনে নামিয়ে দিবে। এখানে থাকতে পারবেন টস্কার্স ডেনে। ৪ জনের রুম ১৬০০ রুপি, এসি। আশপাশটা দেখে, দুপুরের খাবার খেয়ে বেড়িয়ে পড়ুন। প্রথমেই চোখে পরবে স্যামসিং চা বাগান, ডুয়ার্স এর পুরোটাই ভুটান পর্যন্ত চা বাগান। এটি ২৫০০ ফিট উপরে অবস্থিত দুই পাহাড়ের মাঝে উপত্যকায়, এখান থেকে আরো প্রায় ৫০০ ফিট উপরে ৫ কিঃমিঃ দূরে সান্তালেখোলা, সমগ্র পাহাড় জুড়ে শুধু কমলা লেবুর বাগান। এর পাশ দিয়েই বয়ে চলেছে পাহাড়ি ঝিরি নদী মৌচুকি। একটু নীচের দিকে নেমে এলে উপজাতিদের গ্রামের ভেতর দিয়ে প্রায় ২ কিঃমিঃ এগুলেই রকি আইল্যান্ড, যা অনেকটা আমাদের দেশের বিছানাকান্দির মত। এখান থেকে নেমে কিছুদুর এগুলেই মূর...

ঘুরে এলাম সেন্টমার্টিনে যাওয়ার পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে

Image
বালি, পাথর, প্রবাল কিংবা জীব বৈচিত্র্যের সমন্বয়ে জ্ঞান আর ভ্রমণ পিপাসু মানুষের জন্য অনুপম অবকাশ কেন্দ্র সেন্টমার্টিন। টেকনাফ উপজেলার একটি ইউনিয়ন সেন্টমার্টিন। মূল ভূখন্ড থেকে সমুদ্রপথে ২৬ নটিক্যাল মাইল দূরে এর অবস্থান বঙ্গোপসাগরের মাঝখানে। এটি বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। কক্সবাজার জেলা শহর থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে সাগর বক্ষের একটি ক্ষুদ্র দ্বীপ সেন্টমার্টিন। গত ১৩ নভেম্বর থেকে এই বছর এইরুটে শিপ চলাচল শুরু হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৯:৩০ এর টেকনাফের জাহা জ ঘাট থেকে ছেড়ে যায়। আবার সেন্টমার্টিন থেকে ছেড়ে আসে বিকাল ৩টায়। গন্তব্য পৌছানোর সময় অনেকটা নির্ভর করে জোয়ার ভাটার উপর। আনুমানিক ২:৩০-৩:৩০ ঘন্টা সময় লাগে। কিভাবে যাবেন: ঢাকা থেকে সরাসরি বাসে টেকনাফ। বাস ভাড়া ৯০০ টাকা (নন এসি)। টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন শিপে যেতে ভাড়া নিবে ৫৫০ টাকা। কোথায় থাকবেন: সেন্টমার্টিনে থাকার জন্য বেশ উন্নতমানের কয়েকটি হোটেল ও কটেজ আছে। ১৬টি হোটেলসহ বেশ ক’টি কটেজে প্রতিরাতে কমপক্ষে ৫০০ জন পর্যটক থাকতে পারেন। অনেক বাড়িতেও আছে পর্যটকদের জন্য থাকার ব্যবস্থা। প্রায় সাড়ে ছয় মাস পর গতকাল সোমবার...

সেন্টমার্টিন দ্বীপের জনপ্রিয় দশটি রিসোর্ট/হোটেল

ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর স্থান সেন্টমার্টিন। পর্যটকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে সবসময়ই থাকে ‘বঙ্গোপসাগরের টিপ’ বলে খ্যাত এই দ্বীপটি। অন্যান্যবারের মতো এবছরও অসংখ্য পর্যটক পাড়ি জমাবেন সেন্টমার্টিনে। কিন্তু রাত্রিযাপনের জন্য এই দ্বীপে হোটেল বা রিসোর্ট ঠিক করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে যান অনেকেই। তাদের কথা বিবেচনা করে সেন্টমার্টিনের কয়েকটি হোটেল ও রিসোর্টের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরা হলো। ০১) হোটেল ব্লু মেরিন নিঃসন্দেহে সেন্টমার্টিনের সেরা হোটেল। জেটি থেকে সামান্য দূরত্বে অবস্থিত হোটেলটির অবকাঠামো খুবই চমৎকার। তিনতলা বিশিষ্ট এই হোটেলে ৩৪টি বিলাসবহুল রুম সহকারে নিজস্ব রেস্ট্যুরেন্ট রয়েছে। তবে বাজারের কাছে বলে এর আশেপাশে মানুষজনের সমাগম খুব বেশী। এছাড়া এই রুমগুলো থেকে সরাসরি বীচ দেখা যায় না। ফেইসবুকে ব্লু মেরিন হোটেলের রেটিং খুব ভালো ৪.২০/৫.০০ (১০০টি রিভিউ)। এর রুমভাড়া ২,৫০০-৩,৫০০ টাকা। যোগাযোগঃ ০১৭১৩-৩৯৯০০০ (ঢাকা), ০১৭১৩-৩৯৯২৫০ (সেন্টমার্টিন) ০২) নীল দিগন্তে রিসোর্ট সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত সুন্দর একটি রিসোর্ট। এর আয়তনও বেশ বড়ো। অস্তাচল, ছায়াবিথি, তরুছায়া ...